ডেস্ক নিউজঃ চাঁদপুর অর্থনৈতিক অঞ্চলে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে ১৮ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে জুলস পাওয়ার লিমিটেড (জেপিএল)। এ লক্ষ্যে গতকাল বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) ও জেপিএলের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে।
বেজার সচিব ড. গাজী মোহাম্মদ সাইফুজ্জামান ও জেপিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নূহের লতিফ খান নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন। বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী, নির্বাহী সদস্য মো. হারুনুর রশিদ, মহাব্যবস্থাপক মো. মনিরুজ্জামানসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
চুক্তি অনুযায়ী, চাঁদপুর অর্থনৈতিক অঞ্চলে একটি সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করবে জেপিএল। এ কেন্দ্রে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে জেপিএলের অনুকূলে অর্থনৈতিক অঞ্চলটিতে ৫০০ একর জমি বরাদ্দ দেবে বেজা।
প্রকল্পটিতে জেপিএল ১৮ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে। এ বিনিয়োগের আওতায় প্রতিষ্ঠানটি একটি মাল্টিপারপাস জেটি ও ৩৭ কিলোমিটার বিস্তৃত ১৩২ কিলোভোল্টের একটি সঞ্চালন লাইন স্থাপন করবে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জেপিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ঢাকা চেম্বারের পরিচালক নূহের লতিফ খান বলেন, চাঁদপুর অর্থনৈতিক অঞ্চলে আমাদের সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পটি দেশের সর্বপ্রথম নবায়নযোগ্য সোলার ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসার (আইপিপি) প্রকল্প। বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি অত্যন্ত সম্ভাবনাময় একটি খাত। বেজার পক্ষ থেকে এ ধরনের সহযোগিতা আমাদের দেশে শিল্প-কারখানা ও ব্যক্তি পর্যায়ে বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
তিনি আরো বলেন, সরকারের পাওয়ার পারচেজ এগ্রিমেন্টস (পিপিএ) ও ইমপ্লিমেনটেশন এগ্রিমেন্টের (আইএ) কারণে বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগে বেশি মুনাফা মিলছে। এ কারণে এ খাতে বিনিয়োগের জন্য নতুন উদ্যোক্তারা আগ্রহী হচ্ছেন।
চাঁদপুর অর্থনৈতিক অঞ্চলে সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন প্রকল্প এটাই প্রথম নয়। এর আগে ২২ জুন ১ হাজার মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে পাওয়ার চায়না ও ৫ ফেব্র“য়ারি ৮০০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে নরওয়েভিত্তিক স্ক্যাটেক সোলারের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে বেজা।
বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বলেন, চাঁদপুর অর্থনৈতিক অঞ্চলকে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের সোলার পাওয়ার হাব হিসেবে গড়ে তুলতে বেজা কাজ করছে। পরিবেশবান্ধব সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্রের পাশাপাশি এখানে শিল্প-কারখানাও স্থাপন করা হবে, যা এ এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।